একজন শিক্ষক বর্বরভাবে অপমানিত হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যত বড় অভিযোগই থাকুক না কেন, এভাবে তার ছাত্রছাত্রী-সহকর্মী-অভিভাবক-এলাকার মানুষের সামনে এমপির শক্ত তর্জনীর ইশারায় (ভিডিওতে এভাবেই দেখা যাচ্ছে) কান ধরে উঠবস করানো যেকোনো আইনি, সামাজিক বা ধর্মীয় বিচারে বর্বরতা বলেই স্বীকৃত হবে।
হ্যাঁ, শ্যামলের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে। ছাত্ররাই বলছে (যা নিচে তুলে ধরা হয়েছে)। এসবের বিষয়ে আইনসঙ্গত পদক্ষেপ নেওয়াও জরুরি।
কিন্তু ব্যক্তিগত-রাজনৈতিক-ধর্মীয়-সামাজিক সব পরিচয়ের উর্ধ্বে উঠে উচিত ছিল প্রথমে শিক্ষকের মর্যাদাহানী নিয়ে সবপক্ষের মানুষ ও প্রতিষ্ঠানের সোচ্চার হওয়া। যদিও বাস্তবে তেমনটা না হয়ে মূখ্য হয়ে উঠেছে ঘটনাকে ঘিরে থাকা রাজনীতিটা। আর তাতে রসদ যোগাচ্ছে প্রধানত এদেশের মিডিয়া।
শিক্ষক শ্যামল কান্তি অপদস্ত হওয়ার আগের দিন ক্লাসে ঢুকে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করেছিলেন কিনা তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমগুলোতে দুই ধরনের বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে। এক পক্ষ প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন তিনি নেতিবাচক মন্তব্য বা কটুক্তি করেননি, করার মতো মানুষ তিনি নন। আবার অন্যপক্ষ প্রমাণ হাজির করছেন যে, নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন।
কটুক্তি করেননি পক্ষ:
দৈনিক সমকাল আজ (১৮ মে) প্রথম পাতায় 'স্যার ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করেননি' শিরোনামের একটি খবর প্রকাশ করেছে। এটা শ্যামল কান্তির বিরুদ্ধে মারপিটের লিখিত অভিযোগ করা ছাত্র রিফাত হাসানের কথা বলে সমকাল জানাচ্ছে। রিফাতের ছবিসহ ছাপা হওয়া রিপোর্টটি অবশ্য সমকালের নিজস্ব প্রতিনিধির অনুসন্ধান করা তথ্যে নয়, ‘মঙ্গলবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে’ দেয়া রিফাতের বক্তব্য থেকে তৈরি করা ডেস্ক রিপোর্ট ।
রিপোর্টে লেখা হয়েছে, “দশম শ্রেণীর যে ছাত্রের কথা বলে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে লাঞ্ছিত করা হয়েছিল নারায়ণগঞ্জের শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে, সে রিফাতই এখন বলছে, স্যার ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করেননি। গতকাল মঙ্গলবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে রিফাত বলেছে, স্যার তাকে মারধর করায় সে বিচার চাইতে কমিটির কাছে গিয়েছিল। মারধরের সময় ধর্ম নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি। একই কথা বলেছেন রিফাতের মাও। শিক্ষক শ্যামল কান্তি ধর্ম নিয়ে কোনো অবমাননা করেছেন বলে তিনিও শোনেননি বলে জানান।”
‘বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে রিফাত বলেছে’ বলে সমকাল কোন গণমাধ্যমের রেফারেন্স দিয়েছে তা স্পষ্ট নয়। তবে ঘটনার পর থেকে এ সংক্রান্ত মোটামুটি উল্লেখযোগ্য সংবাদগুলো সম্পর্কে অবগত থাকায় যতদূর মনে হচ্ছে, সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ওঠা একাত্তর টিভির একটি সংবাদে নেয়া রিফাত এবং তার মায়ের ‘সাক্ষাৎকার’ এর কথা বলা হয়েছে।
এখন একাত্তর টিভির সেই সংবাদটিতে দেয়া ‘সাক্ষাৎকারে’ সংশ্লিষ্ট রিপোর্টার এবং রিফাত ও তার মা কী বলেছেন (শ্যামল কান্তির ধর্ম সংক্রান্ত মন্তব্য নিয়ে) তা দেখা যাক।
লীড-ইন (প্রেজেন্টার):
হেনস্তার শিকার প্রধান শিক্ষক অভিযোগ করেছেন, মিথ্যে অপবাদ দিয়ে তার বিরুদ্ধে লোকজনকে ক্ষেপিয়ে তোলা হয়েছিল। আর স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক ও এলাকার লোকজনও বলেছেন তার বিরুদ্ধে আনা ধর্ম অবমাননার অভিযোগ সঠিক নয়। নারায়ণগঞ্জ থেকে বুলবুল আহমদের তথ্য ও ছবিতে প্রতিবেদন:
ভয়েস ওভার (রিপোর্টার):
পুরো আঠারো বছর যে স্কুলের জন্য শ্রম দিয়েছেন শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত, গেল শুক্রবার স্কুল প্রাঙ্গনেই ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করার অভিযোগ এনে কান ধরে উঠবস করানো হয় তাকে। স্কুলের শিক্ষকরা জানান, ক্লাসে দুষ্টুমি করায় ছাত্র রিফাতকে মারধর করেছিলেন প্রধান শিক্ষক। পরে অনুতপ্ত হয়ে নিজেই গেছেন রিফাতের বাড়িতে। সেখানেও ধর্ম নিয়ে কোনো কথা হয়নি বলে জানান রিফাতের মা।
এরপর রিফাতের মায়ের বক্তব্য :
‘হেডমাস্টার আমার ছেলেকে অনেক মারপিট করছে। কমিটির কাছে আইলাম। কমিটির কাছে আইয়া জানাইলাম।’
তারপর রিফাতের বক্তব্য :
‘আমাকে হেড স্যার মনে হয় না? তোরে কতক্ষণ ডাক পাড়লাম তুই দাঁড়ালি না? তারপর স্যার আমার কালার (কলার) ধইরা ইচ্ছামত শরীরের মধ্যে আঘাত করার পর লাস্টে শার্টসুট ছিড়্যা ফালাইছে, গুদাম-মুদাম।’
ভয়েস ওভার (রিপোর্টার):......
ইসলাম শিক্ষার শিক্ষক মাওলানা বোরহানের বক্তব্য:
‘....প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তির ভক্তকে ধর্ম নিয়ে উগ্র কোনো কথা বলতে আমি শুনিনি। এবং রিফাত বা অন্য কোনো শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে আমার কাছে কোনো অভিযোগ করেনি।...’
(একাত্তর টিভির রিপোর্টটির প্রথম থেকে রিফাতের বক্তব্য পর্যন্ত হুবহু ট্রান্সক্রিপ্ট করা হয়েছে। বাকিটুকু অতটা প্রাসঙ্গিক না হওয়ায় ডট ডট দেয়া হয়েছে।’
এখানে লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, ভয়েস ওভারে রিপোর্টার বলেছেন “সেখানেও ধর্ম নিয়ে কোনো কথা হয়নি বলে জানান রিফাতের মা।” কিন্তু একটু পরেই আমরা যখন রিফাতের মায়ের বক্তব্য শুনছি তখন দেখা যাচ্ছে তিনি শুধু বললেন “‘হেডমাস্টার আমার ছেলেকে অনেক মারপিট করছে। কমিটির কাছে আইলাম। কমিটির কাছে আইয়া জানাইলাম।”।
প্রধান শিক্ষক রিফাতদের বাড়িতে যাওয়ার পর ধর্ম নিয়ে সেখানে কোনো কথা হয়েছে কিনা তা তো রিফাতের মায়ের বক্তব্যে নেই! তাহলে একাত্তরের রিপোর্টার কিভাবে বললেন যে, “সেখানেও ধর্ম নিয়ে কোনো কথা হয়নি বলে জানান রিফাতের মা”?
সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে সমকালের রিপোর্টটি। পত্রিকাটি ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করার বিষয় সরাসরি অস্বীকার করা নিয়ে রিফাতের যে বক্তব্য ছাপিয়েছে তা কোথায় প্রচারিত সেটা উল্লেখ করেনি। তবে একাত্তরের এই রিপোর্টটই মূল ভিত্তি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণ আরো একাধিক পত্রিকা ওই রিপোর্টটিকেই ভিত্তি ধরে রিফাতের একই রকম বক্তব্য (ধর্ম নিয়ে কটুক্তি না করার) প্রকাশ করেছে।
যেমন- আমাদের সময় ডটকম। পত্রিকাটি “ধর্ম নিয়ে কোন কটুক্তি করেননি শিক্ষক শ্যামল কান্তি (ভিডিও)” শিরোনামের এক প্রতিবেদনে লিখেছে, “একাওর টিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র রিফাত ও তার মা জানান, সেদিন প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত ধর্ম নিয়ে কোন কটুক্তি করেননি। প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ কিভাবে এল তাও তাদের জানা নেই বলে তারা একাওর টিভিকে জানান।”
দৈনিক যুগান্তর তাদের শেষের পাতার “বন্দরের সেই প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত” শিরোনামে খবরে ‘স্যার ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করেননি’ উপশিরোনামে লিখেছে, “বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে রিফাত বলেছে, স্যার তাকে মারধর করায় সে বিচার চাইতে কমিটির কাছে গিয়েছিল। কিন্তু মারধরের সময় ধর্ম নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি। একই কথা বলেছেন রিফাতের মা-ও। শিক্ষক শ্যামল কান্তি ধর্ম নিয়ে কোনো অবমাননা করেছেন বলে তিনিও শোনেননি।”
উপরে সমকালের উদ্ধৃত প্যারাটির সাথে যুগান্তর এই প্যারাটি হুবহু মিলে যায়। এখানেও কোন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সাক্ষাৎকার- তা বলা হয়নি।
স্কুলের ইসলাম শিক্ষার শিক্ষক বোরহানের বক্তব্যকে সমকাল প্রকাশ করেছে এভাবে- “শ্যামল কান্তি ধর্ম নিয়ে কখনও কোনো উগ্র কথা বলেননি বলে জানান স্কুলের ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক।” অন্যদিকে উপরে দেয়া হয়েছে একাত্তরেরে কাছে তার বক্তব্য। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘‘....প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তির ভক্তকে ধর্ম নিয়ে উগ্র কোনো কথা বলতে আমি শুনিনি। এবং রিফাত বা অন্য কোনো শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে আমার কাছে কোনো অভিযোগ করেনি।...’’ ‘উগ্র কথা বলেননি বলে জানান’ এবং ‘আমি শুনিনি’ বা ‘আমার কাছে অভিযোগ করেনি’ কথাগুলোর মধ্যে পার্থক্য অনেক।
ডেইলি স্টার আজকের Supporters of Bangladesh MP now out to hush voices শিরোনামের প্রতিবেদনে লিখেছে, “The class-X student, whose mother on May 12 lodged a complaint with the school committee against the headmaster, was at the school along with his mother and sister.
His mother also spoke in tune with the people gathered there. “Do also write that he [headmaster] insulted our religion,” she told The Daily Star.
Asked if she mentioned in her complaint the allegation that the headmaster hurt their religious sentiment, she said, “I didn't mention it because I didn't hear him making such remarks. It was my son who heard it.”
‘His mother also spoke in tune with the people gathered there.’ এই বাক্যের দ্বারা ডেইলি স্টার রিফাতের মায়ের বক্তব্যকে ‘স্থানীয় প্রভাবশালীদের ভয়ে দেয়া বক্তব্য’ হিসেবে ইঙ্গিত করতে চেয়েছে। ‘আমার ছেলে তা শুনেছে’ মায়ের এমন কথার পর রিফাতের বক্তব্য কী তা প্রকাশ করা যৌক্তিক ছিল, যেটা পত্রিকাটি করেনি।
কটুক্তি করেছেন পক্ষ:
ঘটনাটি আলোচনায় আসার পর থেকে ইউটিউবে কয়েকটি ভিডিও পাওয়া যাচ্ছে রিফাত এবং তার সহপাঠি কিছু ছাত্রের বক্তব্য সম্বলিত। একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে কোনো একটি টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক ‘বুম’ হাতে নিয়েই রিফাতের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন। আবার অন্যটিতে রিফাতের কয়েকজন সহপাঠির সাক্ষাৎকার কে গ্রহণ করছেন তা দেখা যায় না। ধরে নেয়া যায় এটাও কোনো সাংবাদিকই গ্রহণ করেছেন। তবে সাংবাদিকরা এসব সাক্ষাৎকার নিলেও তা কোনো টিভি বা অন্য ধরনের সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হয়নি। সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীরাই সেগুলো নিজ উদ্যোগে ইউটিউবে ছেড়েছেন।
প্রথম ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে রিফাত নিজে শ্যামল কান্তির করা কটুক্তির বর্ণনা দিচ্ছেন। দ্বিতীয় ভিডিওটিতেও একই রকম কথা বলছেন নাম-পরিচয়-ক্লাস রোল উল্লেখ করা তার সহপাঠিরা।
(আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে এই দুটি ভিডিওতে। শ্যামল কান্তি তার ছাত্রদের ওপর বিভিন্ন সময়ে রীতিমত নির্যাতন করতেন। একাধিক ছাত্রের বক্তব্য অনুযায়ী, কথিত কটুক্তির করার দিনও এমন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছিল।)
প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলোর মধ্যে একমাত্র বিবিসি বাংলা জানাচ্ছে শ্যামল কান্তি ইসলাম নিয়ে কটুক্তি করেছিলেন। ১৭ মে “হিন্দু শিক্ষককে কান ধরে উঠ-বস:ঘটনার অন্তরালে” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিবিসি বাংলা।
প্রতিবেদনটির শিরোনামে যেমন একটা ‘ভারিক্কী’ ‘অনুসন্ধানি ভাব’ আছে, ভেতরে তার প্রতিফলন তেমন একটা হয়নি। হালকা ধাঁচে ঘটনা সংশ্লিষ্ট কয়েকজন ব্যক্তির সাক্ষাৎকার দিয়েই এটি তৈরি। যাদের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে তাদের বাইরে আরো গুরুত্বপূর্ণ অনেক ব্যক্তির বক্তব্য নেয়া যেত এবং বক্তব্য-পাল্টা বক্তব্য ও অভিযোগ সংক্রান্ত ডকুমেন্টকে উদ্ধৃত করার মাধ্যমে সেদিন ক্লাসে শ্যামল কান্তি ভক্ত ইসলাম নিয়ে কটুক্তি করেছিলেন কিনা তা আরো জোরালো ও অকাট্যভাবে তুলে ধরা যেত।
যাইহোক, বিবিসি বাংলার বক্তব্যের মূল বিষয়টা হচ্ছে, শ্যামল কান্তি ইসলাম নিয়ে কটুক্তি করেছিলেন।
মো. মৃদুল নামে রিফাতের এক সহপাঠির বক্তব্য জানাচ্ছে বিবিসি, “ছাত্র মৃদুলের বর্ণনায়, “হেড স্যার আইয়া ক্লাসের ভিতরে দাঁড়াইছে। তারপর বলতাছে তোগো আর শিক্ষা হবে না। তোরা অনেক কথা বলছ। শিক্ষকদের কথা শুনছ না। শুনবি কিভাবে? তোগো আল্লাহও নাপাক তোরাও নাপাক।”
আর রিফাতের বক্তব্য বিষয়ে বিবিসি বলছে, “প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধ অভিযোগকারী ছাত্র বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, তিনি তার লিখিত অভিযোগে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ইসলাম ধর্ম অবমাননার কোন অভিযোগ আনেননি।
কিন্তু প্রধান শিক্ষক ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করে মন্তব্য করেছেন বলে দাবী করেন অভিযোগকারী ছাত্র রিফাত হাসান।
তিনি বলেন, “আমার ক্লাসে একশ ছাত্র-ছাত্রী আছিলো। এই ব্যাপারটা সবাই শুনছে। শুধু আমি একলা শুনি নাই।” যদি প্রধান শিক্ষক ইসলাম ধর্মকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেই থাকেন তাহলে লিখিত অভিযোগ সে বিষয়টি উল্লেখ করা হলো না কেন? জবাবে ছাত্র রিফাত হাসান বলেন, “সব ছাত্ররা একলগে কইছে আন্দোলন করব। সেজন্য উল্লেখ করি নাই।”
সমকাল, আমাদের সময়, যুগান্তর, একাত্তর টিভি, ডেইলি স্টার এবং সর্বশেষ বিবিসির রিপোর্ট পড়ে একজন সংবাদ-সচেতন মানুষের মাথা গুলিয়ে যাওয়ার উপক্রম হওয়াই স্বাভাবিক!
রিফাতের মা যে বক্তব্য দেননি তা-ই তার বক্তব্য বলে প্রচার করেছে একাত্তর টিভি ও আমাদের সময়। সমকাল ও যুগান্তর সূত্রহীন বক্তব্য রিফাত ও তার মায়ের নামে জুড়ে দিয়েছে। ডেইলি স্টার রিফাতের নাগাল পেলেও তার বক্তব্য নেয়নি, আর শ্যামল কান্তির বিরুদ্ধে মায়ের বক্তব্যকে ‘ভয়ে দেয়া’ বলে বুঝাতে চেয়েছে। বিবিসি বাংলা আবার রিফাতকেই উদ্ধৃত করে শ্যামল কান্তির বিরুদ্ধে ধর্ম নিয়ে কটুক্তির প্রমাণ দিচ্ছে! এ কোন হাল বাংলাদেশি সাংবাদিকতার!
This is Bangladeshi style
উত্তরমুছুন